নিজস্ব প্রতিবেদক:
কারামুক্ত হয়েই চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ৬ নং ওয়ার্ডের হরইখোলা এলাকায় বাদী পক্ষের লোকজনের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন বাদীর বড় ভাই রমজান মিয়া ও মামলার সাক্ষী মনজুর আলম। গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। আহতরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্তরা হলেন, সদ্য কারামুক্ত আবুল খায়ের, লুৎফুর রহমান ও আব্বাস উদ্দিন। তারা একই এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
আহত রমজান মিয়া জানান, জমির বিরোধের সূত্র ধরে আবুল খায়ের, লুৎফুর রহমান ও আব্বাস উদ্দিনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া আদালতে মামলা করেন খুটাখালী ৬ নং ওয়ার্ডের হরইখোলা এলাকার শাহ আলম প্রকাশ টুক্কুর ছেলে মনছুর মিয়া। যার মামলা নং : সিআর ১৪০৯/২৫। ওই মামলায় ৩ আসামি প্রায় একমাস কারাগারে ছিলেন। আদালতে মোছলেকা দিয়ে তারা গত ১৭ নভেম্বর জামিন পান। ল ১৮ নভেম্বর কারামুক্ত হয়ে এলাকায় পৌঁছেই বাদীপক্ষের লোকজনকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। মামলার বাদী মনছুর মিয়াকে না পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বড় ভাই রমজান মিয়া ও মামলার সাক্ষী মনজুর আলমের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এলাকাবাসী গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান ও আব্বাস উদ্দিন প্রকাশ আব্বাস ডাকাত।
মামলার বাদী ও তার অন্যান্য ভাইয়েরা চাকুরির সুবাদে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করেন। তাদের কাউকে না পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ভাই ও সাক্ষীর উপর হামলা চালানো হয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
এ ঘটনায় ১০ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছেন আহত রমজান মিয়ার সহধর্মিনী রোজিনা আক্তার।
মামলার নথি ঘেটে দেখা গেছে, প্রধান আসামি আবুল খায়ের এর মেয়ে রাহেলা বেগম ও জামাতা ইলিয়াসের মোচলাকায় তারা জামিন পায়। পরে মোছলেকাদাতা রাহেলা বেগম নিজেই মিথ্যা মামলা সাজিয়ে আবার বাদী পক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
সিআর ১৪০৯/২৫ নং মামলায় ৮ আসামির মধ্যে ৩ জন জামিনে মুক্তি পেলেও পাঁচজন পলাতক। আসামিদের অব্যাহত হুমকি-ধমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বাদী পক্ষের লোকজন।
তবে অভিযুক্তদের একজন আব্বাস উদ্দিনের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সংযোগ মেলেনি।
চিহ্নিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভুক্তভোগীরা।
কারামুক্ত হয়েই খুটাখালীতে মামলার বাদী ও সাক্ষীর উপর হামলা
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
